মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পৌঁছে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদীর মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত সানিয়া আক্তার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ নামা পাড়া গ্রামের শাজাহান হাজারীর মেয়ে। ও ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল।
সানিয়ার মা জানান, সাজিদ ও সানিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট আমাদেরকে না জানিয়ে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে তারা। কিছুদিন পর সাজিদের মামা স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিপনের মাধ্যমে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানতে পারি। পরে ছেলের বাবা মা আমাদের বাড়িতে এসে মেয়েকে দেখে যায়। কিন্তু তার কিছুদিন পরই শুনা যায় ছেলের মায়ের নাকি আমার মেয়েকে পছন্দ হয়নি।
গত প্রায় এক মাস ধরে সাজিদ আর আমার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করে না। বিয়ের কথা জানাজানি হওয়ার পর একদিনের জন্যও সাজিদকে আমাদের বাড়িতে আসতে দেয়নি তার মা। মঙ্গলবার আমরা সবাই দাওয়াতে চলে গেলে বিকাল সাড়ে চারটায় এসে দেখি তিন তালায় তার রুমের দরজা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে তার মৃতদেহ ঝুলে থাকতে দেখি।তারা আমার মেয়েকে মানসিক চাপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমি এর বিচার চাই।`
সানিয়ার ভাবি শোভা বলেন, ‘আমার ননদের সাথে দেখা করবে ভেবে সাজিদের পরিবার সাজিদকে ঢাকায় নিয়ে যায়। বিয়ের কথা জানাজানির আগ পর্যন্ত সাজিদ মাহমুদাবাদ টান পাড়ায় তার নানী বাড়িতেই থাকত। প্রায় এক মাস ধরে সানিয়া সাজিদকে দিলেও সে রিসিভ করে না।’
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গতকাল খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়।’
Leave a Reply