শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
হারুন-মামুনকাণ্ড : আরও ৭ দিন সময় চাইলো তদন্ত কমিটি যুদ্ধ স্যাংশন সংঘাতের পথ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান নরসিংদীতে জেলা রাজস্ব প্রশাসনের অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত- রনি সভাপতি বাবু সা. সম্পাদক ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে তিন হাজারের বেশি রোগী নরসিংদীতে চরদিঘলদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৭ নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে ফিরলেন তামিম-মাহমুদউল্লাহ ভিটিমরজালে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত, আহত ৩ নরসিংদীতে লাবিবা পরিবহনের ফাদে পড়ে ঝড়ে পড়ছে একাধিক প্রাণ নরসিংদীতে ৫ ঘন্টার ব্যবধানে সড়কে প্রাণ গেল ৬ জনের

বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে নরসিংদীর লটকন

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩
  • ৬৪ বার দেখেছে

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর বেলাব ও শিবপুর উপজেলার যত্রতত্র দেখা যায় লটকনের বাগান। হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে টক-মিষ্টি স্বাদের লটকন।

 

দেশের চাহিদা মিটিয়ে যা রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, জেলার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাওয়া লটকনের বাজার এখন অন্তত ৩৪০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

লটকনের মৌসুমে এখন প্রতিদিন ভোর থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলার ওপর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে লটকনের হাট বসে। রায়পুরার মরজাল ও বারৈচা এবং শিবপুরের চৈতন্যার লটকনের হাট সবচেয়ে বেশি জমজমাট। এসব হাটে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে অন্তত কয়েক কোটি টাকার লটকন। ট্রাকের পর ট্রাকে করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেন পাইকাররা।

 

ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যেও রপ্তানি হচ্ছে লটকন। জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি লটকনের আবাদ হয়েছে শিবপুর উপজেলার জয়নগর এলাকায়।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় ১ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে লটকন আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল শিবপুরেই ১ হাজার ৫০০ হেক্টর। এ ছাড়া বেলাবতে ২০০ হেক্টর, রায়পুরায় ৫০ হেক্টর ও মনোহরদীতে ৪০ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি প্রায় ১৭ মেট্রিক টন হিসাবে এসব জমি থেকে মোট লটকন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন, যার বাজারমূল্য অন্তত ৩৪০ কোটি টাকা।

 

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মৌসুমে জেলাজুড়ে লটকনের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরাও বেশ খুশি। লটকন বিক্রি করে চাষিরা এ বছর ১৫০০ কোটি টাকা লাভবান হবেন। জেলায় উৎপাদিত লটকনের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

 

 

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শত বছর আগে শিবপুরের জয়নগর এলাকার বনে-জঙ্গলে লটকনগাছ দেখা যেত। সে সময় থেকেই স্থানীয়দের কাছে ফলটির কোনো অর্থনৈতিক গুরত্ব ছিল না। অযতেœ বেড়ে ওঠা লটকনগাছ একটি-দুটি করে শিবপুর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বেলাব উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। বছর দশেক আগে থেকে সারা দেশে সুস্বাদু লটকনের সুনাম ছড়িয়ে পড়লে শত শত বাগানে বাণিজ্যিক চাষের প্রবণতা শুর হয়।

 

 

এখন তো পাইকাররা আগেই কৃষকের বাগান এক মৌসুমের জন্য কিনে নেন। বর্তমানে এই দুই উপজেলায় প্রধান অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে লটকন। এক মৌসুমে লটকন বিক্রির টাকায় সারা বছর সংসার চালান, এমন পরিবারের সংখ্যা এখন অনেক। সবাই লটকন নামে চিনলেও স্থানীয়ভাবে এর নাম বোগী বা গোডা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ