মুমিনের সম্মান,,,,
হযরত ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলূল্লাহ (সা,) মিম্বরে আরোহণ করে উচ্চৈঃস্বরে আহ্বান করে বললেন, ও হে, যারা অন্তরে ঈমান না এনে শুধু মুখে ঈমান এনছ! তোমরা খাঁটি মুসলমানদের কষ্ট দিয়ো না,তাদেরকে লজ্জা দিয়ো না এবং তাদের গোপন দোষ অন্বেষণ করো না। কেননা কোনো ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের দোষ তালাশ করলে আল্লাহ্ তা’য়ালা তার দোষ তালাশ করবেন। আর আল্লাহ্ তা’য়ালা যার দোষ ধরবেন তাকে অপমান করবেন। যদি ও সে নিজের ঘরে লুকিয়ে থাকে(তিরমিযী,মিশকাতঃ৪৬৮
আলোচনাঃ
লজ্জা মানুষকে বিব্রত করে, সষ্কুচিত করে।কাজেই যে কাউকে লজ্জা দেওয়াই বিব্রতকর। বিশেষ করে মানবজাতির মহা উপকারী মুমিন বান্দাদের লজ্জা দেওয়া আর ও বিরক্তিকর আর বিভ্রান্তিকর। এদিকে কারো দোষ তালাশ করা আরও অন্যায়। কেননা মানুষ মাত্রেরই দোষ থাকে। কোন সানুষ ই দোষমুক্ত নয়।সুতরাং যে দোষ তালাশ করেছে, তারও তো অনেক দোষ আছে। আর যার দোষ আছে সে কিভাবে অন্যের দোষ তালাশ করে,,?
হাদীসের অনুবাদঃ হযরত নাফে’ বলেন,একদা হযরত ইবনে ওমর (রা,)বায়তুল্লাহ বা কা’বা শরীফের দিকে দৃষ্টিপাত করে বললেনঃ তুমি কত মহান! তুমি কত সম্মানের অধিকারী! কিন্তু একজন মুমিন আল্লাহর নিকট তোমার চেয়েও অধিক মর্যাদাবান ও সম্মানিত।–(তিরমিযী ২/২৪)
আলোচনাঃ
একজন মুমিনের মর্যাদা কা’বা শরীফের চেয়েও বেশি। ইসলাম মানুষকে কী পরিমাণ মর্যাদা দেয় এ হাদীস তার অত্যুজ্জ্বল দলিল। হিন্দু ধর্মের কোথাও এ কথা বলা হয়নী যে, গয়া, কাশী ও বৃন্দাবনের চেয়েও একজন হিন্দুর মূল্য বেশি। বেথেলহেমের চেয়ে একজন খ্রিষ্টানের মূল্য অধিক কিংবা হেবরনের চেয়েও একজন ইহুদির মূল্য বেশি একথাও বলা হয়নি।
Leave a Reply