পলাশে কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ের অভিযোগ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ” পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ”এর দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করার চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নরসিংদী সদর উপজেলা মোড়স্থ হাজী গফুর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নোটারী পাবলিক এ্যাড. মোঃ বাদল মিয়ার কার্যালয়ে।
ছাত্রীর পিতা ও মাতা নরসিংদী প্রেস ক্লাবে এসে অভিযোগ করেন যে, তার মেয়ে বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার পথে বাগহাটা গ্রামের বখাটে রাকিব মিয়া তাকে আটক করে। সেখান থেকে কতিপয় সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় আমার মেয়েকে রাকিব তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে জানতে পারি নরসিংদী শহরের হাজী গফুর মার্কেটে নোটারী পাবলিক এর কার্যালয়ে আমার মেয়ের বিবাহের হলফনামা তৈরী করেছে। নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে জোর করে তারর মেয়ের স্বাক্ষর নিয়েছে বলেও তিনি শুনেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমার মেয়ে কোথায় আছে, কেমন আছে জানতে পারছি না। নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে জন্ম সনদ না দেখে এবং বয়স নির্ধারণ না করে কীভাবে বিয়ে হয় তাও আমি বুঝতে পারছি না।
ছাত্রীর পিতার বক্তব্য অনুযায়ী নোটারী পাবলিকের কার্যালয় হতে হলফনামার কপি সংগ্রহ করে দেখা যায় নোটারী পাবলিক এ্যাড. বাদল মিয়া নিজেই আইনজীবী হিসেবে হলফনামায় সনাক্ত করেছেন এবং নিজেই নোটারী করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এ্যাডভোকেট বাদল সাংবাদিকদের বলেন, জনৈক ব্যক্তি হলফনামাটি তার নিকট নিয়ে আসলে তিনি নিজেই টাকার বিনিময়ে হলফনামার সত্যায়ন ও নোটারী করেছেন। তিনি কন্যা ও বর কাউকেই দেখেননি। কিংবা তারা তার কার্যালয়েও আসেননি। দালালের মাধ্যমেই হলফনামাটি তৈরী হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি বর-কনের জন্ম সনদ দেখেননি। শুধু টাকার বিনিময়েই তিনি এ হলফনামাটি স্বাক্ষর করেছেন।