ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশে পাওয়ারলোম শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা

সূত্র- নরসিংদীর কন্ঠস্বর

নরসিংদীর পলাশে এমরান ওরফে নয়ন বাবু (৩৫) নামে পাওয়ারলোমের শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিনগত রাতের কোন এক সময় পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এমরান ওই গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে। সে পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, গতকাল রাতে বাড়ির পাশে মোস্তফার পাওয়ারলোমে কাজ করতে যায় এমরান ওরফে নয়ন বাবু। পরে রাত ৩ টার দিকে পাওয়ারলোমের ভিতর থেকে প্রস্রাব করতে বাহিরে বের হন তিনি। কিন্তু তারপর সে আর ভিতরে প্রবেশ করেনি। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সিফাত নামে আরও এক শ্রমিক পাওয়ারলোমের বাহিরে বের হন। এসময় তিনি এমরান ওরফে নয়ন বাবুকে পাওয়ারলোমের বাহিরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে এমরান ওরফে নয়ন বাবু মারা যায়।

নিহতের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, কামাল নামে তার স্বামীর এক বন্ধু এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। কিছুদিন আগেও কামাল রাত ১২টার সময় এসে আমার স্বানীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আজ দুপুরে কামালের বিদেশে চলে যাওয়ার কথা। কামাল আরও মানুষদের নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, নিহত এমরান ওরফে নয়ন বাবু পাওয়ারলোমের শ্রমিক ছিলেন। রাতে প্রস্রাব করতে পাওয়ারলোমের বাহিরে আসার পর কে বা কারা মাথার পিছনে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রাখে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এমরানের মৃত্যু হয়। নিহতের মাথায় কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের অভিযোগে প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৬:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ বার পড়া হয়েছে

পলাশে পাওয়ারলোম শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ০৬:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নরসিংদীর পলাশে এমরান ওরফে নয়ন বাবু (৩৫) নামে পাওয়ারলোমের শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিনগত রাতের কোন এক সময় পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এমরান ওই গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে। সে পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, গতকাল রাতে বাড়ির পাশে মোস্তফার পাওয়ারলোমে কাজ করতে যায় এমরান ওরফে নয়ন বাবু। পরে রাত ৩ টার দিকে পাওয়ারলোমের ভিতর থেকে প্রস্রাব করতে বাহিরে বের হন তিনি। কিন্তু তারপর সে আর ভিতরে প্রবেশ করেনি। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সিফাত নামে আরও এক শ্রমিক পাওয়ারলোমের বাহিরে বের হন। এসময় তিনি এমরান ওরফে নয়ন বাবুকে পাওয়ারলোমের বাহিরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে এমরান ওরফে নয়ন বাবু মারা যায়।

নিহতের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, কামাল নামে তার স্বামীর এক বন্ধু এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। কিছুদিন আগেও কামাল রাত ১২টার সময় এসে আমার স্বানীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আজ দুপুরে কামালের বিদেশে চলে যাওয়ার কথা। কামাল আরও মানুষদের নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, নিহত এমরান ওরফে নয়ন বাবু পাওয়ারলোমের শ্রমিক ছিলেন। রাতে প্রস্রাব করতে পাওয়ারলোমের বাহিরে আসার পর কে বা কারা মাথার পিছনে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রাখে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এমরানের মৃত্যু হয়। নিহতের মাথায় কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের অভিযোগে প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।