ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোড়াশালে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যা, প্রধান আসামী ফয়সাল গ্রেপ্তার

তথ্য- নরসিংদীর কন্ঠস্বর

নরসিংদীর পলাশে নয়ন চন্দ্র মজুমদার (২৮) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দী লাশের রহস্য উদঘাটনের পর হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত প্রধান আসামি ফয়সাল ফরাজী (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শেখ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার খলাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল ফরাজী কালীগঞ্জের খলাপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম ফরাজীর ছেলে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরেক আসামি নয়নের প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলাকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মিথিলা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ মিয়াপাড়া এলাকার মৃত সোহেল মিয়ার মেয়ে ও প্রধান আসামি ফয়সাল ফরাজীর স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মিথিলা নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

নিহত নয়ন চন্দ্র মজুমদার চট্টগ্রাম জেলার সন্বীপ থানার উত্তর মগধরা গ্রামের দিলাল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে। সে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারের একটি ভাড়া বাসায় থেকে পাশ্ববর্তী ঘাগড়া গ্রামে নিজের সেলুনে নাপিতের কাজ করতেন।

পলাশ থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের সড়কের পাশ থেকে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পলাশ থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মরদেহের চোখে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরবর্তীতে নরসিংদী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহায়তায় নিহতের পরিচয় সনাক্ত হলে নিহতের মা ঝর্না রানী মজুমদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনা নামা আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত করে শুক্রবার রাতেই ঘোড়াশালের দক্ষিণ মিয়াপাড়া থেকে ফারজানা আক্তার মিথিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, বিয়ের আগে থেকেই নয়নের সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মিথিলার। পরে ৯ ডিসেম্বর নয়নকে ফোন দিয়ে বাড়িতে ঢেকে নিয়ে যায় মিথিলা। পরবর্তীতে মিথিলা ও তার স্বামী ফয়সাল পরিকল্পিতভাবে নয়নকে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। হত্যার পর প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে নয়নের লাশ দুইদিন খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ঘটনার দুইদিন পর লাশের সাথে ঘরের বিভিন্ন মালামাল বস্তায় ভরে রাতের কোন এক সময় অটোতে যোগে কৌশল নিহতের লাশটি কাটাবের সড়কের পাশে ফেলে যায় তারা ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ১০:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২৮ বার পড়া হয়েছে

ঘোড়াশালে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যা, প্রধান আসামী ফয়সাল গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১০:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

নরসিংদীর পলাশে নয়ন চন্দ্র মজুমদার (২৮) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দী লাশের রহস্য উদঘাটনের পর হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত প্রধান আসামি ফয়সাল ফরাজী (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শেখ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার খলাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল ফরাজী কালীগঞ্জের খলাপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম ফরাজীর ছেলে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরেক আসামি নয়নের প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলাকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মিথিলা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ মিয়াপাড়া এলাকার মৃত সোহেল মিয়ার মেয়ে ও প্রধান আসামি ফয়সাল ফরাজীর স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মিথিলা নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

নিহত নয়ন চন্দ্র মজুমদার চট্টগ্রাম জেলার সন্বীপ থানার উত্তর মগধরা গ্রামের দিলাল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে। সে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারের একটি ভাড়া বাসায় থেকে পাশ্ববর্তী ঘাগড়া গ্রামে নিজের সেলুনে নাপিতের কাজ করতেন।

পলাশ থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের সড়কের পাশ থেকে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পলাশ থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মরদেহের চোখে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরবর্তীতে নরসিংদী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহায়তায় নিহতের পরিচয় সনাক্ত হলে নিহতের মা ঝর্না রানী মজুমদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনা নামা আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত করে শুক্রবার রাতেই ঘোড়াশালের দক্ষিণ মিয়াপাড়া থেকে ফারজানা আক্তার মিথিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, বিয়ের আগে থেকেই নয়নের সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মিথিলার। পরে ৯ ডিসেম্বর নয়নকে ফোন দিয়ে বাড়িতে ঢেকে নিয়ে যায় মিথিলা। পরবর্তীতে মিথিলা ও তার স্বামী ফয়সাল পরিকল্পিতভাবে নয়নকে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। হত্যার পর প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে নয়নের লাশ দুইদিন খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ঘটনার দুইদিন পর লাশের সাথে ঘরের বিভিন্ন মালামাল বস্তায় ভরে রাতের কোন এক সময় অটোতে যোগে কৌশল নিহতের লাশটি কাটাবের সড়কের পাশে ফেলে যায় তারা ।