ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়পুরায় অষ্টমীর স্নান উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

তথ্য- নরসিংদীর কন্ঠস্বর

নরসিংদীর রায়পুরায় কাঁকন নদের তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান উৎসব উপলক্ষে হাজারো পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে।

শনিবার ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর ঘাট ও রামনগরহাটি পাগলনাথ মন্দির কাঁকন নদীর তীরে স্নানের জন্য পুণ্যার্থীদের ঢল নামে।

স্নানে অংশ নিতে আসা পুণ্যার্থীরা জানান, তিথিতে নদের জলে স্নান করলে পাপ মোচন হয় ও শান্তি পাওয়া যায়। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই স্নান উৎসবের আয়োজন করা হয়। মনোকামনা পূরণের আশায় সনাতনীরা বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর ব্রীজ ঘাট ও রামনগরহাটি পাগলনাথ মন্দিরে সমবেত হন। স্নান শেষে ভক্তরা মন্ত্রপাঠ ও প্রার্থনায় অংশ নিয়ে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন। অঞ্চলটিতে সুন্দর একটি ঘাটের খুব অভাব বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

স্নান ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বসে রঙিন গ্রামীণ মেলা। মেলায় শিশু কিশোরের জন্য নানান খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানীরা। নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি দেয়।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিরণ পাল চৌধুরী জানান, শত বছরের বেশি সময় ধরে এখানে এ স্নানের আয়োজন হয়ে আসছে। ঐতিহ্যেবাহী পাগলনাথ মন্দিরে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, রাধাঅষ্টমী, শিবচতুর্দশী, অন্নপ্রসাদ উৎসব, বালি পূজা, শ্যামা পূজা, কালী পূজা, হরিসভা, যেখানে ভক্তরা সমবেত হন প্রার্থনায়, দোলপূর্ণিমাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।

রায়পুরা পৌর পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় চন্দ্র পাল ও সহ সভাপতি শান্ত বণিক বলেন, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে সম্প্রীতির বন্ধন হিসেবে স্থানীয় এলাকাবাসী সক্রিয় ভূমিকা পালন করে অসছে। মন্দির ও ঘাটের সংস্কারে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা পেলে এটি দেশের অন্যতম পূণ্যতীর্থে রূপ নিতে পারে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৬:৪২:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
২০৩ বার পড়া হয়েছে

রায়পুরায় অষ্টমীর স্নান উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

আপডেট সময় ০৬:৪২:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

নরসিংদীর রায়পুরায় কাঁকন নদের তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান উৎসব উপলক্ষে হাজারো পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে।

শনিবার ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর ঘাট ও রামনগরহাটি পাগলনাথ মন্দির কাঁকন নদীর তীরে স্নানের জন্য পুণ্যার্থীদের ঢল নামে।

স্নানে অংশ নিতে আসা পুণ্যার্থীরা জানান, তিথিতে নদের জলে স্নান করলে পাপ মোচন হয় ও শান্তি পাওয়া যায়। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই স্নান উৎসবের আয়োজন করা হয়। মনোকামনা পূরণের আশায় সনাতনীরা বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর ব্রীজ ঘাট ও রামনগরহাটি পাগলনাথ মন্দিরে সমবেত হন। স্নান শেষে ভক্তরা মন্ত্রপাঠ ও প্রার্থনায় অংশ নিয়ে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন। অঞ্চলটিতে সুন্দর একটি ঘাটের খুব অভাব বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

স্নান ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বসে রঙিন গ্রামীণ মেলা। মেলায় শিশু কিশোরের জন্য নানান খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানীরা। নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি দেয়।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিরণ পাল চৌধুরী জানান, শত বছরের বেশি সময় ধরে এখানে এ স্নানের আয়োজন হয়ে আসছে। ঐতিহ্যেবাহী পাগলনাথ মন্দিরে প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, রাধাঅষ্টমী, শিবচতুর্দশী, অন্নপ্রসাদ উৎসব, বালি পূজা, শ্যামা পূজা, কালী পূজা, হরিসভা, যেখানে ভক্তরা সমবেত হন প্রার্থনায়, দোলপূর্ণিমাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।

রায়পুরা পৌর পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় চন্দ্র পাল ও সহ সভাপতি শান্ত বণিক বলেন, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে সম্প্রীতির বন্ধন হিসেবে স্থানীয় এলাকাবাসী সক্রিয় ভূমিকা পালন করে অসছে। মন্দির ও ঘাটের সংস্কারে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা পেলে এটি দেশের অন্যতম পূণ্যতীর্থে রূপ নিতে পারে।