ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুর রহমান পুলিশ সম্পর্কে সকল ধারণা পাল্টে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর দুর্দান্ত সাহসী কিছু অফিসার রয়েছে যারা তাদের সৎ সাহসকে পুঁজি করে জনগণের শান্তির জন্য দিনরাত সকল অন্যায়কে বিতাড়িত করে পুলিশ বাহিনীকে করে তুলেছেন প্রশংসিত।
ঠিক তেমনি একজন বিনয়ী, সৎ,মেধাবী ও সাহসী দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুর রহমান।
একজন অফিসার ইনচার্জ থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ তার দায়িত্ব শতভাগ সফলভাবে পালন করে যে, আন্তরিকতা দিয়ে গোটা থানাবাসীর মন জয় করতে পারে তার এক উজ্জ্বল প্রমাণ তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন।পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের ভিন্ন ধারণা থাকলেও যোগদানের পর তিনি ধারণা বদলে দিয়েছেন। ব্যতিক্রমধর্মী একজন পুলিশ অফিসার হিসাবে তিনি তার সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে থানাতে আসা সাধারণ মানুষের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
শুধু তাই নয় তিনি চুরি-ডাকাতি,অপহরণ, দখলবাজ সিন্ডিকেট, মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধেও কঠোর। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক এবং অপরাধীদের কাছে আতঙ্ক।
১৩ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে তিনি যোগদান করার পর থেকে নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতার বলে উপজেলাবাসীকে সচেতন ও সাধারণ এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন। সেই সাথে একজন সফল অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যত গুণাবলি প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর থানার চলমান বিশেষ অভিযানে গত ০৪/০১/ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ঠাকুরগাঁও থানার মামলা নং-২৪, তাং -২৬/১০/২০২৪ ইং, ধারা- ৪৫৭/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড -১৮৬০ সংক্রান্তে আসামি মোহাম্মদ নয়ন (২৭), পিতা- সুলতান আলী, সাং- একটিয়া বাড়ি গুচ্ছগ্রাম, থানা জেলা ঠাকুরগাঁও কে ধৃত করিয়া বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতার কালে উক্ত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রদত্ত তথ্যমতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চুরি ও অপরাধমূলক ঘটনার সহিত জড়িত তাহার সঙ্গীয় সদস্য আসামি ১.হাসান আলী(২৮), পিতা- তোতা মিয়া, সাং- ছিট চিলারং, থানা ও জেলা ঠাকুরগাও, ২. মোঃ সুজন (২৯), পিতা- মোঃ মশিউর রহমান, সাং- জামুরিপাড়া সালন্দর ইউপি, থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও, ৩. মোঃ মেহেদী হাসান (২৬), পিতা- মোঃ সাদেকুল ইসলাম, সাং- সালন্দর তেলিপাড়া, থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও, ৪. মোঃ হারুন (৩২), পিতা- মৃত আব্দুল হাই, সাং- জগন্নাথপুর বাহাদুরপাড়া, বর্তমান সাং- সরকার পাড়া, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা, থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও ৫. মোঃ শাহী (২২), পিতা- মোঃ ইউনুস আলী, সাং- সালন্দর তেলিপাড়া, থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও, ৬. মোঃ সোহেল রানা, পিতা- মোঃ এনামুল হক, সাং- সালন্দর জামুরীপাড়া, থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও, ৭. মোঃ শহীদ (২৬), পিতা- দুলাল ইসলাম, সাং- সালন্দর মুন্সিপাড়া, থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও ৮. মোঃ রতন (৩০), পিতা- মিজানুর রহমান, সাং- নিশ্চিন্তপুর প্রাইমারি স্কুল, থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও দের গ্রেফতার পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়। উল্লেখ্য যে উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা সহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। এছাড়াও টিম ঠাকুরগাঁও সদর থানার বিশেষ অভিযানে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিক চুরি মামলার আসামি ১.মোঃ জীবন (২২), পিতা- মোঃ শহিদুল ইসলাম, মাতা- শিরিন বেগম, সাং- গোয়ালপাড়া, থানা ও জেলা ঠাকুরগাও, ২. মোঃ রিন্টু (২২), পিতা- মোঃ সাইদুল হক, মাতা- ফাতেমা বেগম, সাং- বাঙালিপাড়া, জগন্নাথপুর ইউপি, থানা ও জেলা- ঠাকুরগাঁও ৩.সাহিদ আলী (৩০), পিতা- মৃত আব্দুল হাই মোল্লা, মাতা- মোছাঃ সাহেরা বেগম, সাং- দিঘীডাঙ্গী, থানা ও জেলা- – ঠাকুরগাঁও, ৪. গোলাম রাব্বানী (২৫), পিতা- হাফিজ উদ্দিন, মাতা- রাবিনা বেগম, সাং- একটিয়াবাড়ি গুচ্ছগ্রাম, থানা ও জেলা- – ঠাকুরগাঁও, ৫. মোঃ সাজু (২৭), পিতা- বেলাল হোসেন, সাং- বসন্তপুর, থানা ও জেলা- ঠাকুরগাঁও, ৬. মোঃ রানা (২৪), পিতা- দিদার হোসেন, মাতা- রিনা বেগম, সাং- কলেজপাড়া, ঠাকুঃ পৌরসভা, থানা ও জেলা – ঠাকুরগাঁও, ৭. মোঃ জনি (৩০), পিতা- নুর ইসলাম, মাতা- নাজমিন বেগম, সাং- বাহাদুরপাড়া, জগন্নাথপুর, থানা ও জেলা- ঠাকুরগাঁও দের কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সেই সাথে রাজনৈতিক মামলায় বিগত সৈরচারের দোসর ১৩০ জনের অধিক আসামীকে ধৃত করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
পুলিশি সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগ লাগবেই নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান।ধনী-গরীব সবার জন্য অফিসার ইনচার্জের থানার দরজা সব সময় উন্মোক্ত রেখেছেন তিনি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা, অপহরণ চক্র,ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যতদিন ঠাকুরগাঁও সদর থানায় কর্মরত আছি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করে যাবো। যাতে করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে ও স্বস্তিতে থাকতে পারে। তিনি বলেন, কোথাও সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ,চাঁদাবাজি, ছিনতাই করে আর সে ঘটনা যদি পুলিশকে জানালে তাহলে তথ্য দাতার পরিচয় গোপন রেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অপরাধ দমনের পাশাপাশি উপজেলাকে অপহরণ ও ডাকাত মুক্ত রাখতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি । তিনি অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।