শিবপুর রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ, ভোগান্তিতে পথচারীরা
শিবপুর পৌরসভার বাঁশ বাজার সংলগ্ন ৩ নং ওয়ার্ডের সড়ক ও জনপদের নির্মাধীন রাস্তার পূর্ব পাশে দিন দিন শিবপুর পৌরসভা ও বিভিন্ন এলাকা ময়লা ফেলায় এখন তা ময়লা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এসব ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন পথচারীসহ পৌরবাসী।পৌরসভার ৩ নং ওর্য়াডে আল হেরা কিন্ডারগার্টেন,
শিবপুর আশ্ররাফিয়া মাদ্রাসা, শিবপুর মডেল কলেজ, শিবপুর পৌর মডেল স্কুল, খাদিজাতুল মহিলা মাদ্রাসা, উপজেলা পশু হাসপাতাল, জাগরণী সমিতি, শিবপুর উপজেলা ডাকঘরসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পৌরসভার ৩ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা ঔষধ
কোম্পানির মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার মো:আলমগীর কবির জানান,
উক্তএলাকা চলাচলকারী স্কুল-কলেজ, ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীদের নাকে কাপড় চেপে চলাচল করতে হয়। অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নাকে কাপড় কিংবা নিঃশ্বাস বন্ধ না করে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এই সকল ময়লা আর্বজনা থেকে বিভিন্ন রোগ জীবাণু মাছি বহন করে পৌরসভার বাসিন্দাদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
৪ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা তারেক এন্টারপ্রাইজ এর মেহেদী হাসান তারেক জানান, এই সব ময়লা আর্বজনা জন্য প্রতিদিন আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই, পৌর প্রশাসক সু নজর দিলে পৌরবাসীর মানুষের ভোগান্তি দূর হতো।
২ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা, ভিবাটেক চালক শামসুল জানান,আমরা প্রতিদিন বাড়ি থেকে গাড়ী নিয়ে রাস্তা পাশ দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে হয়, আমার নিজের যেমন দুর্গন্ধে খারাপ লাগে মাঝে মাঝে বমি চলে আসে, এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
তাই এসব ময়লা-আবর্জনা অন্যত্র ফেলা উচিত।সড়ক ও জনপদের নির্মাধীন রাস্তার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার, আজাদ জানান,
দিন দিন ময়লা ফেলায় রাস্তাটি ভরাট করে ফেলছে, উক্ত এলাকার লোকজন রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতকারী করতেই পারবে না। সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক বিভাগ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রাস্তাটি উন্নয়ন কাজে বিঘ্ন ঘটবে। পাশে রয়েছে অনেকগুলো বৈদ্যুতিক
খুঁটি , এ কারণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এই ব্যাপারে পৌর প্রশাসক মু.আব্দুর রহিম সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান,আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা ইয়াসমিন সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, বিষয়টি নোট করেছেন।