ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোর, ৬ ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার

তথ্য- নরসিংদীর কন্ঠস্বর

নরসিংদীর পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল নেমে নিখোঁজের ৬ ঘন্টা পরে সাইফুল ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় পলাশ ফায়ার সার্ভিস ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের যৌথ চেষ্টায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাইফুল ইসলাম পলাশ বাজার এলাকার আব্দুল চৌধুরীর ছেলে। তার বাবা-মা এই বাজারের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, সাইফুল ঢাকার একটি ব্যাগ কারখানায় চাকরি করতো। এবার ঈদের ছুটিতে বাবা-মার সাথে ঈদ করতে পলাশে আসে সে।
সোমবার দুপুরে একটার দিকে বন্ধুদের সাথে পলাশ বাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নামে সাইফুল। গোসলের এক সময় সে নদীর পার থেকে একটু দূরে চলে যায়। সাঁতার জানা না থাকায় এবং নদীর পানিতে স্রোত বেশি থাকায় সাইফুল নদীর পানিতে তলিয়ে যায়৷ পরে সাইফুলের বন্ধুদের মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম নদীতে তল্লাশি চালায় এবং পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জেলার টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিমকে খবর দেয়। পরে পলাশ ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের যৌথ চেষ্টায় নিখোঁজের ৬ ঘন্টা পর সন্ধ্যায় নদী থেকে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পলাশ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুস শহিদ জানান, দুপুরে খবর পাই পলাশ বাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে একজন নিখোঁজ হয়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে যায়। আমাদের যেহেতু ডুবুরি দল নেই তাই ঘটনা স্থলে গিয়ে আমরা পার্শ্ববর্তী টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেই। পরে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল ও আমাদের একটি ইউনিটের যৌথ চেষ্টায় নদী থেকে নিখোঁজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আমরা মরদেহটি তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ১০:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩৪ বার পড়া হয়েছে

পলাশে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোর, ৬ ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

নরসিংদীর পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল নেমে নিখোঁজের ৬ ঘন্টা পরে সাইফুল ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় পলাশ ফায়ার সার্ভিস ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের যৌথ চেষ্টায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাইফুল ইসলাম পলাশ বাজার এলাকার আব্দুল চৌধুরীর ছেলে। তার বাবা-মা এই বাজারের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, সাইফুল ঢাকার একটি ব্যাগ কারখানায় চাকরি করতো। এবার ঈদের ছুটিতে বাবা-মার সাথে ঈদ করতে পলাশে আসে সে।
সোমবার দুপুরে একটার দিকে বন্ধুদের সাথে পলাশ বাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নামে সাইফুল। গোসলের এক সময় সে নদীর পার থেকে একটু দূরে চলে যায়। সাঁতার জানা না থাকায় এবং নদীর পানিতে স্রোত বেশি থাকায় সাইফুল নদীর পানিতে তলিয়ে যায়৷ পরে সাইফুলের বন্ধুদের মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম নদীতে তল্লাশি চালায় এবং পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জেলার টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিমকে খবর দেয়। পরে পলাশ ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের যৌথ চেষ্টায় নিখোঁজের ৬ ঘন্টা পর সন্ধ্যায় নদী থেকে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পলাশ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুস শহিদ জানান, দুপুরে খবর পাই পলাশ বাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে একজন নিখোঁজ হয়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে যায়। আমাদের যেহেতু ডুবুরি দল নেই তাই ঘটনা স্থলে গিয়ে আমরা পার্শ্ববর্তী টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেই। পরে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল ও আমাদের একটি ইউনিটের যৌথ চেষ্টায় নদী থেকে নিখোঁজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আমরা মরদেহটি তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি।