নরসিংদীর মনোহরদীতে মামিকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ভাগ্নে গ্রেফতার
নরসিংদীর মনোহরদীতে মামিকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ভাগ্নে আফনান সাদী রিটুকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে শিবপুর উপজেলার কুতুবেরটেক গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিটু ওই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী সৌদিপ্রবাসী। তিনি একমাত্র কন্যা এবং শাশুড়িকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতেন। শাশুড়ি প্রায়ই তাকে একা রেখে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন। ভুক্তভোগী নারী স্বল্প বুদ্ধির হওয়ার কারণে তার সংসারে স্বামী-শাশুড়িসহ আত্মীয়-স্বজন নানাভাবে নিপীড়ন করত। ভাগ্নে রিটু তার মামার অবর্তমানে বিভিন্ন সময় মামিকে কুপ্রস্তাব দিতেন। বিষয়টি তিনি স্বামী ও শাশুড়িকে জানালে উল্টো তাকেই দোষারোপ করা হয়। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে থাকেন তিনি। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়িতে একা পেয়ে মামির ঘরে ঢুকে দরজা আটকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন রিটু।
ঘটনাটি মুঠোফোনে স্বামীকে জানালে তিনি তা বিশ্বাস না করে উল্টো স্ত্রীকে গালমন্দ করেন। পরবর্তীতে ৭ মার্চ বিকেলে একই কায়দায় রোজা অবস্থায় আবারও মামিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই যুবক। এ ঘটনার পর মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান ভুক্তভোগী নারী।
কিছুদিন পর স্বামীর অনুরোধে তার বাড়িতে ফিরে আসেন। গত ৪ এপ্রিল অন্য আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ভাগ্নে রিটু। বিকেলে সবাই চলে গেলেও তিনি ওই বাড়িতে থেকে যান। সন্ধ্যার দিকে ফাঁকা বাড়িতে আবারও মামিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান রিটু।
সম্প্রতি ভুক্তভোগী নারীর শারীরিক অবস্থার পরির্বতন ঘটলে ১৫ দিন আগে স্বজনরা তাকে মনোহরদী উপজেলা সদরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ঘটনাটি আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয়দের জানানোর পর কোনো প্রতিকার না পেয়ে মনোহরদী থানায় মামলা করেন। রাতেই থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) শহীদুজ্জামান ও সঙ্গীয় পুলিশ আফনান সাদী রিটুকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, মামলা করার চার ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।