ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশের ডাঙ্গায় সিমেন্ট কারখানায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

সূত্র- নরসিংদীর কন্ঠস্বর

Oplus_131072

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন একটি সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) রাতে নরসিংদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে এ তথ্য জানান, পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ডাঙ্গার
নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড কারখানার ড্রেজারে নদীপথে ২টি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে। পরে তারা কারখানার শ্রমিকদের ৬টি কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপ ও মালামাল লুট করে নেয়। এ হামলায় অন্তত ৭ জন শ্রমিক আহত হন।

কারখানা সূত্রে জানা গেছে , হামলার নেতৃত্ব প্রদানকারী বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের অনুসারী। কিছুদিন আগে স্থানীয় যুবদল নেতা বাদল মিয়া ও নজরুল মাস্টার এই কোম্পানির ড্রেজারের কাজ তাদেরকে দেওয়ার দাবী করেন মনিরুজ্জামান। কিন্তু মালিক পক্ষ নিজেরাই কাজ করার কারণে তাদেরকে নিষেধ করে দেন। এরপর তারা সেখানে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়া ৩ জুলাই ওই কারখানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সেদিনই হামলার ঘটনায় পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডাঙ্গার কনফিডেন্স সিমেন্ট ফ্যাক্টরির এজিএম (প্রশাসন ও বিধিনিয়ন্ত্রণ শাখা) মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমাদের ওপর হামলা করে অফিস ভাঙচুর, মারধোর, লুটপাট ও চাঁদা দাবির ঘটনা আমাদের ঢাকা অফিসকে জানিয়েছি । এরপর কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মামলার প্রধান আসামি মনিরুজ্জামান মনিরকে গ্রেপ্তার করে।

এলাকাবাসী জানান, মনিরুজ্জামান স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আগে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন সিমেন্ট কারখানায় হামলা- ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে পলাশ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি মনিরুজ্জামানকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় নরসিংদী সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৬:১৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
২৪ বার পড়া হয়েছে

পলাশের ডাঙ্গায় সিমেন্ট কারখানায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৬:১৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন একটি সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) রাতে নরসিংদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে এ তথ্য জানান, পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ডাঙ্গার
নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড কারখানার ড্রেজারে নদীপথে ২টি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে। পরে তারা কারখানার শ্রমিকদের ৬টি কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপ ও মালামাল লুট করে নেয়। এ হামলায় অন্তত ৭ জন শ্রমিক আহত হন।

কারখানা সূত্রে জানা গেছে , হামলার নেতৃত্ব প্রদানকারী বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের অনুসারী। কিছুদিন আগে স্থানীয় যুবদল নেতা বাদল মিয়া ও নজরুল মাস্টার এই কোম্পানির ড্রেজারের কাজ তাদেরকে দেওয়ার দাবী করেন মনিরুজ্জামান। কিন্তু মালিক পক্ষ নিজেরাই কাজ করার কারণে তাদেরকে নিষেধ করে দেন। এরপর তারা সেখানে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়া ৩ জুলাই ওই কারখানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সেদিনই হামলার ঘটনায় পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডাঙ্গার কনফিডেন্স সিমেন্ট ফ্যাক্টরির এজিএম (প্রশাসন ও বিধিনিয়ন্ত্রণ শাখা) মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমাদের ওপর হামলা করে অফিস ভাঙচুর, মারধোর, লুটপাট ও চাঁদা দাবির ঘটনা আমাদের ঢাকা অফিসকে জানিয়েছি । এরপর কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মামলার প্রধান আসামি মনিরুজ্জামান মনিরকে গ্রেপ্তার করে।

এলাকাবাসী জানান, মনিরুজ্জামান স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আগে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন সিমেন্ট কারখানায় হামলা- ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে পলাশ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি মনিরুজ্জামানকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় নরসিংদী সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।