রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধে ১ জন নিহত
নরসিংদীর রায়পুরায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুলাল সরকার (৫৫) নামে একজন নিহত হয়ছেন। এঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খোকা আলম ও জাকির হোসেন সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহত দুলাল সরকার সমিবাদ গ্রামের আব্দুল মালেক এর ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। অন্যদিকে আহত হয়েছেন একই গ্রামের বেলাল সরকার এর ছেলে মাহিন (১৭)। সংঘর্ষের সময় ৪ টি বসতঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে জসিম উদ্দিন, আরিফ, গিয়াস উদ্দিন ও শরীফ, কাউসার ও কামরুলদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খোকা আলম ও জাকির হোসেনের মধ্যে ৩ বছর যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। স্থানীয় ভাবে তাদের এ বিরোধ বেশ কয়েকবার মিমাংসাও করা হয়েছে। সবশেষ গত ৬ মাস আগে বিকাশ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাদের বিরোধ চরম আকারে ধারন করে। এ নিয়ে সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফায় হামলা চালানো হয়। এসময় দুইজনকে গুলিবিদ্ধে আহত করা হয়। আহতাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দুলাল সরকারের মৃত্যু হয়। অপরজন ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতের স্বজন আব্দুল জলিল সরকার বলেন, সোমবার বিকেল থেকে প্রতিপক্ষরা অতর্কিতভাবে বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। ৪ টি বসত ঘর ও একটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করা হয়। এঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবী করেন তারা।
চরমধুয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে। খোকা আলম ও জাকিরের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিলো। এর আগেও এসব নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে৷ মিমাংসার জন্য একাধিকবার তাদের বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আদিল মাহমুদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স নিয়ে পরিদর্শন করেছি। দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা গেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তিতে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।