ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘সারকারখানার ট্রাকস্ট্যান্ডে ১৫০ টাকার চাঁদা এখন ৬০০ টাকা’: জামায়াত নেতা

তথ্য- নরসিংদী টাইমস
“ফ্যাসিস্ট আমলে পলাশে সারকারখানার যে ট্রাকস্ট্যান্ড আছে, ওই ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে চাঁদা নিতো ১০০-১৫০ টাকা, বর্তমানে প্রতিটি ট্রাককে দিতে হয় ৬০০ টাকা চাঁদা। এই টাকা যায় কোথায়, এই টাকা কী সরকারে উঠায়, ফ্যাক্টরি উঠায়, এই টাকা কে উঠায়? এমন প্রশ্ন করেছেন নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামীর জেনারেল সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ আমজাদ হোসাইন।
রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকার ঘোড়াশাল পৌর সভার বালুচরপাড়া এলাকায় দাঁড়িপাল্লা সমর্থক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সর্বস্তরের জনগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এই প্রার্থী আরও বলেন, চাঁদাবাজরা চাঁদা উঠায়। জমা দেয় কার কাছে? এটা এদেশের মানুষ জানে। আগে পলাশ বাসস্ট্যান্ড ও ঘোড়াশাল বাসস্ট্যান্ডে  চলন্ত সড়কে ট্রাক দাড় করিয়ে নিতো ২০-৩০ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। মাসে ৭০ হাজার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয়, এখানে কোনো ইজারা নাই। ফ্যাক্টরির মালিকরা এখন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাসিক বেতন দেয়। কর্মচারীদের যেমন বেতন দেয়া হয়। নরসিংদীর পলাশে ছোট-বড় ১২৮টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় চাঁদার হার মাসিক হারে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
আমজাদ হোসাইন আরও বলেন, “আমি কথা বলেছি ব্যবসায়ীদের সাথে। তারা আমাকে জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাঁদা প্রদান করা না হলে, চাঁদাবাজরা কারখানা বন্ধ করে দেয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেয়। এসব চাঁদাবাজ কারা আপনারা জানেন।”
ঘোড়াশাল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রকৌশলী মো.নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পৌর শাখার সহকারী সেক্রেটারি মকসুদুর রহমানের সঞ্চালয়নায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মো. সাইয়েদুজ্জামান, জেলা ইউনিট সদস্য মাও: মোজাম্মেল হক, পলাশ থানা সেক্রেটারি মাসুদ করিমসহ অন্যান্যরা।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ১১:১৬:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৭৬ বার পড়া হয়েছে

‘সারকারখানার ট্রাকস্ট্যান্ডে ১৫০ টাকার চাঁদা এখন ৬০০ টাকা’: জামায়াত নেতা

আপডেট সময় ১১:১৬:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“ফ্যাসিস্ট আমলে পলাশে সারকারখানার যে ট্রাকস্ট্যান্ড আছে, ওই ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে চাঁদা নিতো ১০০-১৫০ টাকা, বর্তমানে প্রতিটি ট্রাককে দিতে হয় ৬০০ টাকা চাঁদা। এই টাকা যায় কোথায়, এই টাকা কী সরকারে উঠায়, ফ্যাক্টরি উঠায়, এই টাকা কে উঠায়? এমন প্রশ্ন করেছেন নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামীর জেনারেল সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ আমজাদ হোসাইন।
রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকার ঘোড়াশাল পৌর সভার বালুচরপাড়া এলাকায় দাঁড়িপাল্লা সমর্থক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সর্বস্তরের জনগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এই প্রার্থী আরও বলেন, চাঁদাবাজরা চাঁদা উঠায়। জমা দেয় কার কাছে? এটা এদেশের মানুষ জানে। আগে পলাশ বাসস্ট্যান্ড ও ঘোড়াশাল বাসস্ট্যান্ডে  চলন্ত সড়কে ট্রাক দাড় করিয়ে নিতো ২০-৩০ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। মাসে ৭০ হাজার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয়, এখানে কোনো ইজারা নাই। ফ্যাক্টরির মালিকরা এখন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাসিক বেতন দেয়। কর্মচারীদের যেমন বেতন দেয়া হয়। নরসিংদীর পলাশে ছোট-বড় ১২৮টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় চাঁদার হার মাসিক হারে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
আমজাদ হোসাইন আরও বলেন, “আমি কথা বলেছি ব্যবসায়ীদের সাথে। তারা আমাকে জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাঁদা প্রদান করা না হলে, চাঁদাবাজরা কারখানা বন্ধ করে দেয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেয়। এসব চাঁদাবাজ কারা আপনারা জানেন।”
ঘোড়াশাল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রকৌশলী মো.নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পৌর শাখার সহকারী সেক্রেটারি মকসুদুর রহমানের সঞ্চালয়নায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মো. সাইয়েদুজ্জামান, জেলা ইউনিট সদস্য মাও: মোজাম্মেল হক, পলাশ থানা সেক্রেটারি মাসুদ করিমসহ অন্যান্যরা।