নরসিংদীতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান, চার দিনে ১০৬ জন গ্রেপ্তার
নরসিংদী জেলাজুড়ে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। ১৩ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত চারদিনে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে প্রতিটি থানায় একযোগে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১০৬ জন আসামিকে। যাদের মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত ডাকাত, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং একাধিক পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান-এর নির্দেশনায় এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রতিটি থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ অভিযানে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। চার দিনের এই অভিযানে প্রথম দিন ২৯ জন, দ্বিতীয় দিন ২৮ জন, তৃতীয় দিন ৩০ জন ও চতুর্থ দিনে ১৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বেলাব থানা:মরিচাকান্দি এলাকায় চালানো অভিযানে ৮ কেজি গাঁজাসহ মোছা: রুবিয়া আক্তার (২৫) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে পূর্বে ৪টি মাদক মামলা রয়েছে।
রায়পুরা থানা : অভিযানে ১ কেজি গাঁজাসহ ধরা পড়ে আরেকজন মাদক ব্যবসায়ী। মাধবদী থানা: ভগিরথপুরে ২১ পিস ইয়াবাসহ মোঃ আবুল হোসেন (৩৭) নামে এক মাদকমকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার বিরুদ্ধেও রয়েছে ৪টি পুরোনো মামলা।
ডিবি পুলিশ (নরসিংদী): সদর থানাধীন বানিয়াছল এলাকায় ৮০ পিস ইয়াবাসহ ২ জনকে আটক করা হয়। তাদের একজন মনির মিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে ৫টি মামলা। পলাশ থানা : ২১ পিস ইয়াবাসহ আরও একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।শিবপুর মডেল থানা : অভিযানে ধরা পড়ে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা কুখ্যাত ডাকাত আমিন সরকার ওরফে সোহাগ ওরফে আমিন ডাকাত (২৮) এবং তার সহযোগী মঞ্জু (৩৪)। আমিন সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৭টি মামলা, যার সবই বিচারাধীন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের সাঁড়াশি অভিযান চলবে প্রতিনিয়ত। মাদক নির্মূল, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের জোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
নরসিংদী পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন,
“আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন, ছাড় নেই। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ ধরনের অভিযান আরও বিস্তৃত আকারে চালানো হবে।”
নরসিংদীর সাধারণ মানুষ পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই জানান, এভাবে ধারাবাহিক অভিযান চললে মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে জেলা অনেকটাই মুক্ত হবে।