ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীর বেলাবতে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

তথ্য- নরসিংদীর কন্ঠস্বর

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষণকারী আলকাছ মিয়ার দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

রবিবার (২০ জুলাই) বিকাল ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গকুলনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বেলাব সাংগঠনিক জেলা শাখা।”ধর্ষণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় জনসাধারণ, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, নারী অধিকারকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

প্রতিবাদী এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বেলাব সাংগঠনিক জেলা শাখার সভানেত্রী রাবেয়া খাতুন শান্তি এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা শারমিন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক রোকসানা বেগম, অর্থ সম্পাদক পারভীন আক্তার,
সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার,
কাঙ্গালিয়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি সাঈদ নবী, সমাজসেবক হোসেন মিয়া, কাঙ্গালিয়া গ্রামের তরুণ প্রতিনিধি জুবাইয়ের , নোয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল মিয়া’সহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একজন দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণের মতো নৃশংস ও ঘৃণ্য অপরাধ সমাজে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ কীভাবে এমন নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নেয়, তা ভাবলে গা শিউরে উঠে। তারা বলেন, এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। এখন পর্যন্ত ধর্ষক আলকাছ মিয়ার গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

সভানেত্রী রাবেয়া খাতুন শান্তি বলেন, এটা কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ঘটনা নয়, এটা সমাজের সম্মিলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা। শিশুদের সুরক্ষা দিতে না পারলে রাষ্ট্র ব্যর্থ। ধর্ষণের বিচার বিলম্বিত হলে অপরাধীরা উৎসাহ পায়। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”

এ মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষ যেমন প্রতিবাদ জানালেন, তেমনি প্রশাসনের প্রতি বার্তা দিলেন—নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করুন। এলাকার জনগণ আশা করছেন, দ্রুতই দোষী ব্যক্তি গ্রেপ্তার হবে এবং আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ১১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
৬১ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদীর বেলাবতে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় ১১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষণকারী আলকাছ মিয়ার দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

রবিবার (২০ জুলাই) বিকাল ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গকুলনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বেলাব সাংগঠনিক জেলা শাখা।”ধর্ষণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় জনসাধারণ, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, নারী অধিকারকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

প্রতিবাদী এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বেলাব সাংগঠনিক জেলা শাখার সভানেত্রী রাবেয়া খাতুন শান্তি এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা শারমিন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক রোকসানা বেগম, অর্থ সম্পাদক পারভীন আক্তার,
সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার,
কাঙ্গালিয়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি সাঈদ নবী, সমাজসেবক হোসেন মিয়া, কাঙ্গালিয়া গ্রামের তরুণ প্রতিনিধি জুবাইয়ের , নোয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল মিয়া’সহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একজন দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণের মতো নৃশংস ও ঘৃণ্য অপরাধ সমাজে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ কীভাবে এমন নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নেয়, তা ভাবলে গা শিউরে উঠে। তারা বলেন, এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। এখন পর্যন্ত ধর্ষক আলকাছ মিয়ার গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

সভানেত্রী রাবেয়া খাতুন শান্তি বলেন, এটা কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ঘটনা নয়, এটা সমাজের সম্মিলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা। শিশুদের সুরক্ষা দিতে না পারলে রাষ্ট্র ব্যর্থ। ধর্ষণের বিচার বিলম্বিত হলে অপরাধীরা উৎসাহ পায়। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”

এ মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষ যেমন প্রতিবাদ জানালেন, তেমনি প্রশাসনের প্রতি বার্তা দিলেন—নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করুন। এলাকার জনগণ আশা করছেন, দ্রুতই দোষী ব্যক্তি গ্রেপ্তার হবে এবং আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে।