বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল বলেছেন, ধর্ষক যেই হউক, যেই দলের হউক, যেই মতের হউক, যেই ধর্মের হউক তাদেরকে ধরে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নিপীড়ন কারী যেই হউক, চাঁদাবাজ যেই হউক তার কোন পরিচয় নেই, তার পরিচয় চাদাঁবাজ, ধর্ষক, খুনি তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে আর কোন ছাড় দেওয়া চলবে না।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় নরসিংদীর মনোহরদী সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন ও জনশৃঙ্খলা একরকম ভেঙে পড়েছে। আমাদের মা বোনরা এখন কিন্তু রাস্তাঘাটে নিরাপদ নয়। ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রয়োজনে আইনের কোন সংশোধন করতে হলে, নতুন আইন প্রণয়ন করতে হলে সেটি করে হলেও দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করে বলেন, আপনারা আরো সতর্ক হউন ও সক্রিয় হউন। আপনাদের নাকের ডগায় যদি কোন অপকর্ম হয়, দখল হয়, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হয়, পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসীবাদী দোসররা যদি ষড়যন্ত্র করতে পারে এর দায় কিন্তু আপনাদেরই নিতে হবে।

মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রেহান উদ্দিন রেনু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান প্রধান,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল, মনোহরদী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক নাদিম মাহমুদ বায়েজীদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. শহীদুল্লাহ্ , উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক আলী আকবর, সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন বাচ্চু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোজাম্মেল হোসেন উজ্জ্বল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাফিউদ্দিন আহমেদ করুন, পৌর কৃষকদলের আহবায়ক কাজল কমিশনার, সদস্য সচিব হান্নান কমিশনার, পৌর বিএনপির সদস্য আকরাম কমিশনার, উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির আকন্দ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাম্মির রহমান টিপু, ছাত্রদল নেতা মহসিন, অয়ন, সোহেল তানভীরসহ প্রমুখ।